উইজার্ড মানে কোনো কিছু খাপে খাপে বিস্ময়কর ভাবে কমানো। একটি ড্রয়িং ফাইলে বেশ কিছু সেটআপের প্রয়োজন হয়। প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই সেটআপগুলি আগে থেকেই সাজানো থাকে। অটোক্যাডে উইজার্ড অপশন ব্যবহার করে এক একটি ধাপ নিয়ে নতুন ফাইল ওপেন করার ব্যবস্থা আছে। উইজার্ড ব্যবহার করে ফাইল খোলার জন্য উইজার্ড অপশন বাটন ক্লিক করতে হবে। Wizardবাটন ক্লিক করলেAdvanced Setup এবং Quick Setup অপশন দুটি দেখা যাবে।
অটোক্যাড প্রোগ্রাম ওপেন করলে কম্পিউটারের পর্দার অটোক্যাড উইন্ডোজ দেখা যাবে। নিচে অটোক্যাড উইন্ডোজের প্রধান প্রধান অপশন নিয়ে আলোচনা করা হলো-
(১) Memu Bar এর অপশন গুলো হচ্ছে, যথাক্রমে- File, Edit, View, Insert, Assist, Design, Modify, Annotate, Content, Window, Help
(২) Standend Toolbar এর অপশন গুলো হচ্ছে, যথাক্রমে- Qnew, Open, Save, Print, Plot Preview, Publish, Cut to clipboard, Copy to clipboard, Past from clipboard, Match Properties, Undo, Redo, Pan Real-time, Zoom real-time, Zoom, Zoom previous, Properties, Design Center, Tool Palettes and Help
(৩) File Status bare চলতি ফাইলের নাম দেখা যাবে।
(৪) Object Properties toolbar এ সাহায্যে অবজেক্ট প্রোপারটিজ যেমন- Color, Line Type, Line Weightসেট করা এবং Layer ম্যানেজ করা যায়।
প্রত্যেক অঙ্কিত বস্তুর নিজস্ব পুনাগুন বা প্রোপার্টিজ আছে। অংকিত বস্তুটির সাধারন গুনাগুন অন্যান্য বস্তুর মধ্যেও থাকতে পারে। যেমন- লেয়ার, কালার, লাইন টাইপ, এবং প্লট স্টাইল। কিছু সুনির্দিষ্ট প্রোপার্টিজ শুধুমাত্র ঐ বস্তুটি কেমন তার উপর নির্ভর করে। যেমন-একটি বৃত্তের ব্যাসার্ধ এবং ক্ষেত্রফল। লাইনের দৈর্ঘ্য এবং ইত্যাদি। একটি বস্তুর অধিকাংশ সাধারন প্রোপার্টিজ লেয়ারের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয় অথবা বন্ধুর উপর সরাসরি প্রয়োগ করা যেতে পারে। BYLAYERভ্যালু দিয়ে প্রোপার্টিজ সেট করলে যে লেয়ার অঙ্কিত হবে সেই লেয়ারে সমস্ত গুনাগুন প্রাপ্ত হবে। ধরা যাক কোন একটি লেয়ার নিয়ে একটি সরল রেখা অংকন করতে হবে, যার কালার লাল সেট করা আছে। এমতাবস্থায় সরল রেখাটি নীল রঙের আঁকতে হলে আে থেকে নীল রঙটি সিলেক্ট করে নিতে হবে ।
(৫) Draw Toolbars: ড্র টুলবারের বিভিন্ন অপশনগুলো নিচের চিত্রে দেখানো হলো-
(৬) Modify Toolbars: এটিতে রয়েছে মডিফাই অপশন। যথা: Erase, Copy, Mirror, Offset, Array, Move Rotate ইত্যাদি।
(৭) World Coordinession System (WCS): অটোক্যাড কোঅর্ডিনেট সিস্টেম তিনটি অক্ষ নিয়ে গঠিত। অঙ্কগুলো হচ্ছে X, Y এবং Z। অটোক্যাডের যে কোন নতুন ফাইলে WCS, XY ভনের সাথে X অক্ষ হরাইজেন্টাল Y অক্ষ ভার্টিক্যাল এবং Z অক্ষ পারপেন্ডিকুলার বা লম্ব ভাবে অবস্থান করে। অটোক্যাডের একটি সুনির্দিষ্ট কোঅডিনেট সিস্টেম আছে, যা WCS নামে পরিচিত। নতুন কোন ফাইল অপেন করলে ডিফল্ট হিসেবে অটোক্যাড উইন্ডোজের নিচের বাম কোনে WCS কে দেখা যাৰে।
(৮) User Coordination System (UCS): কার্তোসিয়ান কোঅর্ডিনেশন সিস্টেম তিনটি অক্ষ X, Y এবং Z নিয়ে গঠিত। কোন একটি বিন্দুর কোঅর্ডিনেট-এর মানে ইনপুট দেয়া অর্থ হল মূল বিন্দু (০,০,০) থেকে বিন্দুর অবস্থান X, Y এবং Z অক্ষ বরাবর ধনাত্নক ঋনাত্মক দিক সুচিত করে। ব্যবহারকারী ইচ্ছা মাফিক ড্রয়িং এরিয়ারযে কোন স্থানে WCS Iconসরিয়ে নিতে পারে। তখন তা User Coordination System বা সংক্ষেপে UCS নামে অভিহিত হয়।
(৯) User Coordination System Icon (UCS Icon): ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনে WCS আইকনটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরালে বা নতুন অবস্থানে নিলে বা ঘুরালে WCS আইকনটি UCS Icon এ পরিনত হয়। বিভিন্ন অবস্থায় আইকন কেমন রুপ ধারণ করে তার একটি নমুনা নিচের চিত্রে দেয়া হয়েছে।
নিচের চিত্রে একটি UCS টুলবার দেখানো হয়েছে। এখানে বিভিন্ন অপশন নিয়ে বেশ কয়েকটি বাটন আছে। UCS টুলবার ক্লিক করে চিত্রের সকল অপশন নিয়ে কাজ করা যায়। (চিত্র)
(১১) Command Windows: যেখানে কমান্ড জনিত নির্দেশনা দেখা যায়।
(১২) Status Bar cursor অবস্থানের স্থানাঙ্ক দেখার ব্যবস্থা আছে। এটিতে আরো আছে, Snap, Grid, Ortho, Osnap, (অবজেক্ট স্ল্যাগ), OTrack, Lwt Line Weight)
পারদর্শিতার মানদন্ড
১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুল্স, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা;
8. কাজের নিমিত্তে কম্পিউটার অন করা;
৫. কাজের ধাপ অনুসরন করে ইউজার কো-অর্ডিনেট সিষ্টেম কনফিগার করার প্রস্তুতি গ্রহন করা;
৬. কাজের ধাপ অনুসরন করে ইউজার কো-অর্ডিনেট সিস্টেম কনফিগার সম্পন্ন করা
৭. কাজের শেষে যথানিয়মে কম্পিউটার সাটডাউন করা;
৮. কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং
৯. চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথাস্থানে সংরক্ষন করা;
ধাপ ৩। ক্লিক ইউসিএস আইকন
ধাপ ৪। ক্লিক অরিজিন
সতর্কতা:
১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করবো।
২. কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসবো।
৩. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিব।
৪. কাজেরসময়কম্পিউটার হতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসবো।
৫. প্রয়োজন হলে চোখের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গগলস পরবো।
৬. কাজের সময় ইউ.পি.এস এর সার্পোট/ল্যাপটপ এর ব্যাটারি চার্জ চেক করে নিব।
অর্জিত দক্ষতা: ইউজার কো-অর্ডিনেট করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে। যা বাস্তব ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।
অটোক্যাড কমান্ড প্রয়োগ করার পদ্ধতি সমূহ (Systems to apply command):
৫ টি উপায়ে অটোক্যাডে কমান্ড প্রয়োগ করা যায়। যথা-
(১) অটোক্যাড ম্যানু ব্যবহার করে
(২) কি-বোর্ডের সাহয্যে কমান্ড লাইনে কমান্ড লিখে এবং এন্টার করে,
(৩) টুলবার ক্লিক করে,
(৪) সর্টকাট মেনু থেকে এবং
(৫) Accelator Keys ব্যবহার করে।
এ ছাড়াও 3D (Primitive) বস্তুর ক্ষেত্রে আইকন সিলেকশনের মাধ্যমে কমান্ড দেয়া যায়।